২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি মেয়াদোত্তীর্ণ এবং সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের পর মধ্যপ্রাচ্যে আবারও উত্তেজনা চরমে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, সামরিক অভিযানে তিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তবে আঞ্চলিক কর্মকর্তারা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, আঘাতটি ছিল বড়, কিন্তু মোটেও সর্বনাশা নয়।
ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদ ধ্বংস হয়নি বরং তা গোপন স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে পিক্যাক্স মাউন্টেন নামে নতুন একটি গোপন সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা নির্মাণের খবরও পাওয়া গেছে। যদিও ইরান এ বিষয়ে কিছুই বলেনি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের ইরান প্রকল্পের পরিচালক আলি ভায়েজ জানিয়েছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানাগুলো ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে। তাঁর ভাষায়, আগের যুদ্ধের মতো ১২ দিনে ৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র নয় পরের বার তারা একসঙ্গে ২ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার লক্ষ্য নিয়েছে, যাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অচল হয়ে যায়।
ইউরোপীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, চীন থেকে ১০-১২টি চালানে প্রায় ২ হাজার টন সোডিয়াম পারক্লোরেট ইরানে পৌঁছেছে। কঠিন জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এই উপাদানটি।
ইসরায়েল বলছে, যুদ্ধের আগে ইরানের হাতে ছিল প্রায় ২৭০০ ক্ষেপণাস্ত্র। নতুন করে অন্তত অর্ধেক মজুদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি জানিয়েছেন, ইরানের অধিকাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম যুদ্ধ থেকে বেঁচে গেছে। বর্তমানে তাদের হাতে রয়েছে প্রায় ৪০০ কেজি ৬০% সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম, যা অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রার খুব কাছাকাছি।
