October 20, 2025
tbn24-20251019215029-5906-tbn24-20250913200429-760-US department of state

‘সো আপনাদের দায়িত্ব ভেরিফাই করার। হঠাৎ করে বলতে পারবেন না যে, আমি তো বুঝি নাই; সে আমার সব তথ্য নিয়ে গেছে। আমরাও স্ক্যামের শিকার হই। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
অ্যামেরিকার ভিসাপ্রত্যাশীরা প্রতারণার ফাঁদ বুঝবেন কীভাবে, সে সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন অ্যাটর্নি অ্যাট ল মঈন চৌধুরীকে করেছেন টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদ। বাস্তবতার আলোকে উত্তর দিয়েছেন অতিথি।

টিবিএন: একজন আবেদনকারী; সাধারণ আবেদনকারী। একেবারেই সাধারণ। কীভাবে বুঝবে যে কোন অফারটি এই যে যেটা বললাম যে, আমরা বিভিন্ন জায়গায় এখন তো স্ক্যামের একটা একেবারে ছড়াছড়ি। একেবারে যেকোনো সময় আপনার টেলিফোনে, আপনার মেইলে, হোয়াটসঅ্যাপে, ফেসবুকে, নানান জায়গায় স্ক্যামের অফার আসে।

তো একজন সাধারণ আবেদনকারী কিভাবে বুঝব যে আমরা যে, কোন অফারটা বা কোন এজেন্সিটা আসল নাকি প্রতারণামূলক অফার আমাকে দিচ্ছে? কী লক্ষণ দেখে আমাদের সন্দেহ ত্যাগ করা উচিত যে এটি আসল না নকল?

মঈন চৌধুরী: ধন্যবাদ, রানা ভাই। আসলে এখানে আসল নকল বোঝার অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসির নিজস্ব ওয়েবসাইট ব্যবহার করি। আপনার ভিসার জন্য কারও কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। হ্যাঁ, যদি কোনো অটর্নি আপনাকে হেল্প করতে চায়, অবশ্যই আমরা অ্যামেরিকায় বসে আপনাকে নানাভাবে হেল্প করতে পারি, কিন্তু যদি এজেন্সির কথা বলেন, আমরা কারও সাথে, কোনো এজেন্সির সাথে আমরা কাজ করি না।

অ্যাটর্নি হচ্ছে সবচেয়ে বেস্ট এজেন্সি। তারা, অ্যাটর্নি অ্যাট ল হচ্ছে লিগ্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। অন্যরা কিন্তু কোনো লিগাল রিপ্রেজেন্টেটিভ না। তারা চাইলে আপনার প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে পারে না। তারা আপনার নামে কাজগুলা করবে, কিন্তু আপনি কিন্তু যা তথ্য দিচ্ছেন, ইউ আর রেসপন্সিবল ফর ইউর ওন ইনফরমেশন।

কেউ যদি বলে আপনি ভাই ম্যারিড হলে ভিসা পাবেন, আনম্যারিড হলে ভিসা পাবেন না, আপনিও তো ম্যারিড লিখে দিলেন, কিন্তু আপনি জেনেবুঝে লিখছেন, ইন্টারভিউতে বলছেন যে, আপনি ম্যারিড। এ ক্ষেত্রে দায়দায়িত্ব কিন্তু আপনার এজেন্সির কথা বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। আর আপনি যেহেতু খেলা দেখতে আসছেন, অবশ্যই আপনি ইংলিশ কম-বেশি জানেন।

যদি ইংলিশই না জানেন, আমেরিকায় আপনি কী খেলা দেখবেন? একটু বেসিক তো জানতে হবে এবং নিজের অ্যাপ্লিকেশন নিজে দেখেশুনে দেওয়া উচিত।

যার মাধ্যমে করেন না কেন, ইউ মাস্ট ভেরিফাই অল ইউর পার্সোনাল ইনফরমেশন। কারণ যে যাই করো না কেন, দিনশেষে আপনার তথ্য আপনাকেই সঠিকভাবে বসাতে হবে এবং যদি মিথ্যাও দিয়ে থাকেন, এই দায়দায়িত্ব আপনারই।

এজেন্সির কথা কোনো ধরনের আমি খারাপভাবে বলছি না। আমারে কেউ ভুল বুঝবেন না। অনেকে আপনারা হেল্প করতেই পারেন, কিন্তু প্রপারভাবে হেল্প করবেন।

আমি সবাইকে বলি, রং হেল্প অলওয়েজ হার্ট। যে যেই কাজটা জানেন না, সে অন্যকে কাজে সহায়তা করার চেষ্টা করবেন না। এতে ওই লোকের যেমন ক্ষতি হবে, আপনি মানসিক অশান্তিতে থাকবেন।

রং হেল্প অলওয়েজ হার্ট। সো বি কেয়ারফুল এবং আপনারা যদি সঠিক তথ্য জানতে চান, ইউএস অ্যাম্বাসিতে ওয়েবসাইটে যাবেন। ইউএস অ্যাম্বাসির ওয়েবসাইটে গেলে অনেক তথ্যগুলো অটোম্যাটিক দেওয়া থাকে।

আর যদি অ্যাটর্নি অ্যাট ল যারা আছে, তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক থেকে… এখন সবাইকে জানা যায়, কে অ্যাটর্নি, কে অ্যাটর্নি না।

আমাদের প্যারালিগালকে অনেকে অ্যাটর্নি মনে করে। আপনারা বি কেয়ারফুল। যার সাথে কথা বলেন, যদি অ্যাটর্নি অ্যাট ল মনে হয়, তাদের নামের সাথে অ্যাটর্নি অ্যাট ল লেখা থাকবে। প্যারালিগাল বা কনসাল্ট্যান্ট, তারা কোনো অ্যাটর্নি অ্যাট ল না।

সো আপনাদের দায়িত্ব ভেরিফাই করার। হঠাৎ করে বলতে পারবেন না যে, আমি তো বুঝি নাই; সে আমার সব তথ্য নিয়ে গেছে। আমরাও স্ক্যামের শিকার হই। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *