বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জুলাই সনদ ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রসঙ্গে বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্যের নামে অনৈক্য তৈরির চেষ্টা হয়েছে। তবে আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিষয়টিকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। জাতীয় সার্বভৌমত্বকে কখনও কোনো আদেশ দিয়ে তো বাধ্য করা যায় না। কারণ দেশের সর্বোচ্চ সার্বভৌমত্ব হলো জাতীয় সংসদ। মানুষ ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করে। জনগণ ভোটের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষার রূপান্তর: একটি কৌশলগত রোডম্যাপ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম।
গণভোট নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই সনদে গণভোট নিয়ে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে, তাতে মনে হয়, পিএইচডি ডিগ্রিধারীদেরও তা পড়তে অনেক সময় লাগবে। তিনি বলেন, যাইহোক দেশে একটি আদেশ জারি হয়েছে। দেশে আদেশ জারির কোনো ইতিহাসও নেই এবং এ ধরনের আদেশের ভবিষ্যৎ নেই। এ বিষয়ে সাংবিধানিক আইনি বৈধতা নেই। এদের (সরকার) উদ্দেশ্যে হলো– একটি লিগ্যাল কেওয়াজ তৈরি করা।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শাহ শামীম আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেমিনার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এম এ কাউসার ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান, ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ।