আজ ১৭ই মার্চ জাতির জনকের জন্মদিন

 


আজ ১৭ই মার্চ জাতির জনকের জন্মদিন
রেজা-উল-হক-মিতা

যতি রাত পোহাতে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই। আমার এই প্রিয় গানটি দিয়ে শুরু করলাম আজকে আমার এই লেখা। আমার রাজনীতির আদর্শ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের এক মহানায়ক। এ কথা আমাদের নদী মাতৃক বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী সবাই জানেন ও তাকে অনেকে চেনেন। 

পৃথিবীর অনেক দেশের সাথে তার ভালো সু-সম্পর্ক রয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধু আমার খুব প্রিয় একটি নাম। যার জন্ম না হলে আমরা এই সুন্দর একটি দেশ পেতাম না। তাই বঙ্গবন্ধু আমাদের গর্ব একটি অহংকারের নাম। তিনি আমাদের জাতির পিতা।

 
তাই বঙ্গবন্ধুকে আমরা বলে থাকি জাতির পিতা। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের মন ও মননে একেবারে চিন্তা ও চেতনায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সদা মনের ভেতরে জাগ্রত রয়েছে। আরও জাগ্রত রয়েছেন শেখ মুজিবুর রহমান। 

কৃষকের সবুজ ফসলের মাঠ জুড়ে রয়েছে মাঝিদের ভাটিয়ালী গানে রাখালের বাঁশির সুরে শ্রমিকদের শ্রমে ঘামে তরুণ আর তরুণী, কিশোর আর কিশোরীর পায়ে হেঁটে পথচলার অনেক প্রেরণা হয়ে যিনি বেঁচে আছেন সবার হৃদয়ে তিনি হলেন আমাদের প্রিয় বঙ্গবন্ধু।

 
শুধু নদী মাতৃক ৫৪ হাজার বর্গমাইল জুড়ে নয়। তিনি আজ সারা বিশ্বের এক মহান নেতা। শুধু ১৬ কোটি মানুষের হৃদয়ে নয়, এপার বাংলা আর ওপার বাংলার হাজার মানুষের ভীড়ে কবি সাহিত্যিকদের কবিতায় গানে ছড়ায় নাটকে হাজারও উচ্চারিত একটি নাম শেখ মুজিবুর রহমান। 

১৯২০ সালের ১৭ মার্চে এমনই এক দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টঙ্গিপাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেয়া খোকা নামের ছোট্ট শিশুটিই আজ সবার প্রিয় নেতা শেখ মুজিব। শেখ মুজিব দেশের মানুষকে ভালোবাসাই ছিল যার জীবনের একমাত্র মহান ব্রত। তাই কিশোর বেলাতেই একজন ছাতাহীন তার প্রিয় বন্ধুকে একটি সুন্দর ছাতা উপহার দিয়ে, প্রচন্ডশীতে নিজের গায়ের চাঁদর একজন বৃদ্ধকে খুলে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। 

বঙ্গবন্ধু সবসময় ভাবতেন গরীব আর দুখীদের সব রকম সাহায্যে এগিয়ে আসা ছিল তার জীবনের একটি নিত্য নৈমিত্তিক অপূর্ব ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর উদাহরণ থেকে আজকের ভবিষ্যত শিশুদের শিক্ষা নেয়া উচিত। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকতে শুধু গরীব দুখীদের নয় এ দেশের হাজারও মানুষের কথা তিনি সবসময় ভাবতেন। কেউ না খেয়ে থাকলে তিনি রাতে কখনও ঘুমাতে পারতেন না।

 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আমরা জেনেছি তিনি ছোট বেলা থেকেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের কাছে পরাধীন এই জাতি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনেকেই শোষণ আর কঠিন নির্যাতনের শিকার হতেন। ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন এটা তিনি কখনও বাঙালি জাতি হিসেবে কখনও সহ্য করতে পারতেন না। তাই তিনি একদিন স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। 

বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসতেন ও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে জেলখানায় কাটিয়েছেন। তার এই আত্মত্যাগ এদেশের মানুষ কখনও অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমাদের গর্ব করার মত অনেক ঘটনা ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রয়েছে। 

ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৬’ ছয় দফা ও ১১ দফার আন্দোলন, ৭০’ এর সাধারণ নির্বাচন এবং ৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত এ দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের একজন মহান নেতা। আমরা তার আদর্শ ধারণ করে আরও এগিয়ে যাবো। এই হোক আমাদের আজকের অঙ্গীকার।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন