দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জে সর্বনিম্ন ১৯ ভোট মানিকগঞ্জ থেকে মন্ত্রী সভায় সদস্য না থাকায় ক্ষোভ

 
                            দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জে সর্বনিম্ন ১৯ ভোট

           মানিকগঞ্জ থেকে মন্ত্রী সভায় সদস্য না থাকায় ক্ষোভ

 

স্টাফ রিপোর্টার :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-৩ (সদর-সাটুরিয়া) আসনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক টানা চতুর্থবার এমপি নির্বাচিত হলেও এবার তাকে মন্ত্রী সভায় অন্তর্ভূক্ত না করায় সর্বস্তরের জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ ও নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। 

এছাড়া, মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর-হরিরামপুর) আসনে সতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু ও মাকিনগঞ্জ-১ (শিবালয়, ঘিওর, দৌলতপুর) আসনে সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদ সতন্ত্র এমপি নির্বাচিত হন। এ সকল আসনে ২০ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। 

মানিকগঞ্জ-২ আসনে আ’লীগ প্রার্থী কষ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও ১ আসনে জাতীয় পার্টির জহিরুল আলম রুবেলের জামানাত রক্ষা হয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতিটি সংসদীয় আসনে কাস্টিংভোটের ৮ শতাংশের কম ভোট পেলে ঐ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্তের বিধান রয়েছে। 


জানা গেছে, জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে এমন প্রার্থীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি সাবেক এমপি মফিজুল ইসলাম কামাল মানিকগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী হন। আসন ভিত্তিক জামানত হারানোর তালিকায় অন্যরা হচ্ছেন-
মানিকগঞ্জ-১ ভোটার ৪,৩৬,১৯৭ জন। গণফন্টের প্রার্থী মোহাম্মদ সাজাহান খান (১,০৮৭ ভোট), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম প্রার্থী মোনায়েম খান ৬৩৩ ভোট পান।  
মানিকগঞ্জ-২ ভোটার ৪,৬৬, ৯৮৯ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান। তার প্রাপ্ত ভোট ৯,৭১১। সতন্ত্র প্রার্থী সাহাবুদ্দিন আহমেদ চঞ্চল (৬,১২৫), সাবেক ফুটবলার দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল (৪,৬৩১) তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ আশিফ (৫৩৬) কংগ্রেস পার্টির মো. জাকির হোসেন (২৫২), সুপ্রিম পার্টির একে নাহিদ (১৯২), বিএনএম প্রার্থী একেএম ইকবাল হোসেন (৮৯) এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রার্থী গামছা প্রতিকে তানভীর হাসান ১৯ ভোট পান।


মানিকগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী ৬ জন। ভোটার ৩,৫৮,৪৫৯ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ মালেক ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২০ ভোট পান। এ আসনে অন্যদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এরা হলেন, গণফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক সাংসদ মফিজুল ইসলাম খান কামাল। জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেল (৪,৫৮৬ ভোট) কৃষক শ্রমিক জনতালীগ প্রার্থী এম হাবিবুল্লাহ (১০১০), সোনালী আঁশ প্রতীকে প্রার্থী মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম আলী খান মজলিশ (৬১৫) এবং বিএনএম প্রার্থী এম খালেক দেওয়ান ৪৭১ ভোট পান।

মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জাহিদ মালেক ২০০৮ সালে আ’লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। তিনি গত ’১৪ সালে নির্বাচিত হয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হন। ’১৮ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হলে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদ পান। ’২০ সালে করোনা কালীন ও পরবর্তী সময়ে তার বলিষ্ট ভূমিকায় স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। এবার জেলায় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হলেও তিনি মন্ত্রী সভায় ঠাঁই না পাওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি অচিরেরই মন্ত্রীয় সভায় অন্তর্ভূক্ত হবেন বলে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দ আশা করছেন।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন