১৮ কোটি মানুষের দেশে মাত্র একজন নোবেল পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।
ফাওজুল কবির খান তার পোস্টে বলেন, আজ সকালে গিয়েছিলাম ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে জব ফেয়ারে। সেখানে দুটি কথা বলেছি।
‘জব ফেয়ার’ নয়, আমার পছন্দের শব্দ হচ্ছে ‘ক্যারিয়ার ফেয়ার’। যেখানে কেবল চাকুরীদাতা নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার, রাজনীতিবিদ হওয়ার স্টল থাকবে। আমাদের এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন তরুণ, শিক্ষিত, ও সৎ রাজনীতিবিদ। দ্বিতীয় যে কথাটি বলেছি তা হলো, সামাজিক অন্বেষার মূল বিষয় হচ্ছে সম্পদ বাড়ানো; ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পদ বাড়ানো।
সম্পদ বাড়ানো যায় দুইভাবে – উৎপাদন ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে; রেন্ট সিকিং বা দুর্নীতির মাধ্যমে। সারা পৃথিবীর সম্পদশালীরা উৎপাদন ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মোট সম্পদ বাড়িয়েছেন। মাইক্রোসফটের বিল গেটস, অ্যাপলের স্টিভ জবস এর উদাহরণ। অন্যদিকে আমাদের ন্যায় অনুন্নত দেশের বেশিরভাগ সম্পদশালীরা মোট সম্পদ না বাড়িয়েই বিত্তশালী হয়েছেন রেন্ট সিকিং ও দুর্নীতির মাধ্যমে। ফলে আমাদের সমাজ পিছিয়ে আছে।
তিনি বলেন, বিকেলে গিয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে। সেখানে আক্ষেপ করেছি আঠারো কোটি মানুষের বাংলাদেশে একজন মাত্র নোবেল লরিয়েট, তাও শান্তিতে। মূল নোবেল পুরস্কার পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, কিংবা সাহিত্যে আমাদের কোনো নোবেলজয়ী নাই। ছাত্র ছাত্রীদের কারা এসব বিষয়ে নোবেল পুরস্কার পেতে আশা করে তাদের হাত তুলতে বলি। একটিও হাত ওঠেনি।
উপদেষ্টা আরো বলেন, সেখানে আরো বলেছি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি নিরপেক্ষ অপরিমেয় সম্ভাবনার একটি প্রযুক্তি। একে আত্মস্থ করতে হবে ও রেন্ট সিকিং ও দুর্নীতির ন্যায় সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সান্নিধ্যে আজকের দিনটি ভালোই কেটেছে।