December 1, 2025, 12:30 pm
সর্বশেষ সংবাদ:
আশ্রয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত ‘দীর্ঘ সময়’ বজায় রাখার ঘোষণা ট্রাম্পের মেট্রোরেলের ছাদে ওঠা যে কারণে বিপজ্জনক সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২২ কর্মকর্তা জাতীয় তিন মাসের মধ্যেই দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে পারবে অন্তর্বর্তী সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বন্ধ বার্ষিক পরীক্ষা, সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু আজ ফের অভ্যুত্থানে জেন-জি, উত্তাল এশিয়ার আরেক দেশ ‘সমুদ্রে অবৈধ ও অতিরিক্ত মৎস্য আহরণে মাছের সংস্থান কমে যাচ্ছে’ দেশের ৩৩ শতাংশ মানুষ রোগাক্রান্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একমাত্র সমাধান: পোপ লিও সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত সদস্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচন ও গণভোটের সম্ভাব্য তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি

Reporter Name
  • Update Time : Thursday, November 27, 2025
  • 23 Time View

নিউজ ডেস্ক:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানে তিনটি তারিখ বিবেচনায় নিয়ে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ৮ ফেব্রুয়ারিকে প্রাধান্য দিচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এর বাইরে ৫ ও ১২ ফেব্রুয়ারিকেও ইসি তাদের চিন্তায় রেখেছে। অবশ্য কমিশনের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ৮ ফেব্রুয়ারি রোববারই হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। অন্য কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হলে ওই দিনই ভোট হবে। এছাড়া বিগত সময়ে সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি থাকলেও এবার পরদিনও ছুটি রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।

কমিশন সূত্র জানায়, পোস্টাল ভোটসহ বেশকিছু বিষয় বিবেচনায় রেখে এবার তফসিল ঘোষণা ও ভোটগ্রহণের মধ্যে বেশি সময় হাতে রাখতে চাইছে কমিশন। অন্যান্য সময় তফসিল থেকে ভোটগ্রহণে সর্বোচ্চ দেড় মাসের মতো ব্যবধান থাকলেও এবার প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে ৭ অথবা ৮ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এক অনুষ্ঠানে বলেন, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। একই দিনে ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদকে উদ্ধৃত করে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল একই সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

পরে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের বিধান অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে গণভোটের আইন না থাকায় ইসির প্রস্তুতিতে কিছুটা বাধা তৈরি হয়। গত মঙ্গলবার কেটেছে সে বাধা। ওই দিন ‘গণভোট অধ্যাদেশ, ২০২৫’ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর ওই রাতেই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। ওই অধ্যাদেশে গণভোট অনুষ্ঠানের বিধানগুলো বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। কমিশন এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিধিবিধান ও পরিপত্র জারি করতে পারবে বলেও অধ্যাদেশে উল্লেখ রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট হবে সাদা এবং গণভোটের জন্য রঙিন ব্যালট পেপার ছাপা হবে। গণভোটটি হবে ‘জুলাই চার্টার’ (সাংবিধানিক সংস্কার) বিষয়ে। চারটি বিষয়ের ওপর একটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিতে হবে।

এদিকে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি আসনে দাঁড়াতে পারেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবার তিনটি আসনে প্রার্থী হবেন বলে জানা গেছে।

এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ছয় কোটি ৪৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০৭ জন, নারী ছয় কোটি ২৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার এক হাজার ২৩৪ জন। গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ বছর হয়েছে, তাদের সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। এর সঙ্গে প্রবাসী ভোটার, যারা ভোট দেওয়ার জন্য নিবন্ধন শেষ করবেন, তা যোগ করা হবে। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ছাপার কাজ শেষ করা হবে।

প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটে সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটে ভোট দিতে পারবেন। এবার পাঁচ কোটিরও বেশি তরুণ প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। নির্বাচনে জয়-পরাজয় এরাই নির্ধারণ করবেন। নির্বাচন কমিশন গত ৩১ অক্টোবর হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রকাশ করে।

নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে কেন্দ্রভিত্তিক ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ কাজ শেষ করতে পারবেন বলে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আশা প্রকাশ করেছন।

নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আট লাখেরও বেশি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এর মধ্যে সেনাবাহিনীর এক লাখ সদস্য নির্বাচনি কাজে মোতায়েন থাকবেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক হাজার ২১০ প্লাটুন সদস্য কাজ করবেন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য প্রেয়োজনীয় ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনাকাটার প্রক্রিয়া চলমান। ইভিএম পদ্ধতি আগেই বাদ দেওয়া হয়েছে। পুরো ভোটগ্রহণ হবে ব্যালট পেপারে। তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমতো কাজ করবে। নির্বাচনি কাজে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের কাজও চলছে।

সিইসি নাসির উদ্দিন ইতোমধ্যে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। দেশজুড়ে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র এবং দুই লাখ ৪৪ হাজার ৭৩৯টি ভোটকক্ষ স্থাপনের চূড়ান্ত তালিকা করা হয়েছে। পুরুষদের জন্য এক লাখ ১৫ হাজার ১৩৭ এবং মহিলাদের জন্য এক লাখ ২৯ হাজার ৬০২টি কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে তিন হাজার ভোটারের ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটারের জন্য একটি এবং ৫০০ মহিলা ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রাথমিকভাবে ১৪টি, যেখানে ভোটকক্ষ থাকবে প্রায় ১২ হাজারের মতো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামানো হচ্ছে।

একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনকে কিছুটা চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। এজন্য ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়িয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। ভোটকেন্দ্র ও বুথ বাড়ানোর প্রয়োজন হবে কি না, তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আগামী শনিবার মক ভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে কমিশন। ওই মক ভোটের পর যাচাই-বাছাই করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য ভোট উপহার দিতে বেশকিছু নতুন ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি যাচাই-বাছাই করে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছে। বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য কমিশন আইনি কাঠামোয়ও যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। সে অনুযায়ী আদালত ঘোষিত পলাতক কোনো অপরাধী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমান এবং কোস্ট গার্ড) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একক প্রার্থী নির্বাচনি এলাকায় ‘না’ ভোট প্রথা চালু করা হয়েছে। প্রার্থীদের নির্বাচনি হলফনামায় বিদেশে থাকা সম্পদ ঘোষণা করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে দেড় লাখ টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নির্বাচনি অনিয়ম প্রমাণ হলে পুরো নির্বাচনি এলাকার ভোট বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে প্রার্থীদের পরিবেশবান্ধব প্রচারের ব্যবস্থা করেছে। রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি, ২০২৫-এর নীতিমালায় পোস্টার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ছোট আকারে (প্রচারপত্র) প্রার্থীর সাদা-কালো ছবিসহ বক্তব্য বিলি করতে পারবে।

আরো জানা গেছে, প্রবাসীদের জন্য প্রথমবারের মতো অ্যাপের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পর্কিত অনিয়মকে নির্বাচনি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এটা মোকাবিলায় একটি ডেডিকেটেড সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং ডেস্ক স্থাপন করা হবে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্যাপারে সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হয়েছে। ভোটের আগে-পরে ১০ দিন সেনা মোতায়েন থাকবে। গণভোটের প্রচার আগে থেকেই চালানো হবে।

আরো যত প্রস্তুতি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ ছাড়াও ব্যালট বাক্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সুঁই-সুতা থেকে শুরু করে অমোচনীয় কালি, প্যাডসহ ২৭ ধরনের নির্বাচনি সরঞ্জাম কেনাকাটার কাজ গত সেপ্টেম্বরেই সেরে রেখেছে ইসি। নির্বাচন ভবনের গোডাউনে এগুলো মজুত রয়েছে। এখন গণভোটের জন্য অতিরিক্ত ব্যালট বাক্স ও সরঞ্জাম প্রয়োজন হলে সেটাও কেনার প্রস্তুতি আছে তাদের।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য একটি করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রয়োজন হয়। আর প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে অতিরিক্ত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দেওয়া হয়। সে হিসাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন লাখের বেশি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের প্রয়োজন হবে। এর সঙ্গে গণভোট আয়োজনে আরো ব্যালট বাক্সের প্রয়োজন হবে। তবে আগে থেকেই অতিরিক্ত দেড় লাখ ব্যালট বাক্স মজুত আছে জানিয়ে ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এরপরও প্রয়োজন হলে নতুন করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স তৈরি করা হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না। কারণ, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত রেখেছে। আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিএনপি ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বাকি আসনগুলো শরিকসহ অন্যান্য প্রার্থীর জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এটি বিএনপির সম্ভাব্য তালিকা। চূড়ান্ত তালিকা তফসিল ঘোষণার পর প্রকাশ করা হবে। জামায়াতে ইসলামী আগেই ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তবে তারা ১৫০ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে শরিকদের আসনও থাকবে। এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চারটি দল নিয়ে নতুন জোট করতে যাচ্ছে। আজ এ জোট ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, বেশকিছু ইসলামি ও বাম দল বিএনপির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে এবং জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনি লড়াইয়ে যুক্ত হবে আটটি ইসলামি দল। রাজনৈতিক দলগুলোর থিংক ট্যাংক ইতোমধ্যে নির্বাচনি ইশতেহার তৈরির কাজ শুরু করেছেন। একই সঙ্গে নির্বাচনের স্লোগান ও প্রচার কৌশল ঠিক করছে। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে।

গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে এ ধারণা আগে থেকেই পরিষ্কার ছিল। তাই কমিশন মানসিক প্রস্তুতি এবং প্রাথমিক কাজগুলো আগেই সম্পন্ন করেছে।

আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ মক ভোটিং আয়োজন করা হবে জানিয়ে সচিব বলেন, একই দিনে দুই ধরনের ভোট পরিচালনা করতে গেলে কিছু সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে। সে বাস্তবতা যাচাই করতেই আমরা এই রিহার্সালের আয়োজন করেছি। মক ভোটিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখা হবে কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন হবে কি না, ভোটকক্ষের সংখ্যা বাড়বে বা কমবে কি না, ভোটার ব্যবস্থাপনা কীভাবে সমন্বয় করা যাবে, দুই ধরনের ব্যালট ব্যবস্থাপনা একসঙ্গে করতে কতটুকু সময় লাগবে এবং সামগ্রিকভাবে কেন্দ্র পরিচালনায় কী ধরনের সমন্বয় প্রয়োজন হবে।

নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি তফসিল ও ভোটগ্রহণের সময় নিয়ে কমিশন পর্যায়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। কোন তারিখটি নির্বাচন করা হলে সব নাগরিকের জন্য সুবিধা হয় সেটিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

সম্ভাব্য ভোটগ্রহণের জন্য আগামী ৫, ৮ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বেশি আলোচনায়। এর মধ্যে কোন তারিখটি বাছাই করতে চাইছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, একাধিক তারিখ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে, কমিশন সভায় আলোচনার পর চূড়ান্ত করা হবে। আর নির্বাচন কমিশনার আবদুল রহমানেল মাছউদ জানান, খুব কম সময়ের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে তফসিল ও ভোটগ্রহণ কবে হবে তা আপনারা জানতে পারবেন। আরেকটু অপেক্ষা করুন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © dainikkhobor.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com