চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় সাবেক স্ত্রী সামিরা হক ও বন্ধু অভিনেতা আশরাফুল হক ডনের পর এবার শাশুড়ি লতিফা হক লিও ওরফে লুসির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। ৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
সালমান শাহ হত্যা মামলায় তিন নম্বর আসামি নায়কের শাশুড়ি লতিফা হক লিও ওরফে লুসি। তিনি যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন তাই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালত।
এর আগে ২৭ অক্টোবর সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হক ও খলনায়ক আশরাফুল হক ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান। এর মাধ্যেমে এ মামলায় তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিলেন আদালত।
পাশাপাশি মামলাটি আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্তাধীন থাকায় আসামিরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারে সেজন্য রমনা থানা থেকে সংশ্লিষ্ট সব বিমান ও স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করা হয়।
হত্যা মামলার আসামিরা যাতে কোনোভাবেই দেশত্যাগ করতে না পারে সে লক্ষে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলাকে হত্যা মামলায় রূপান্তরের নির্দেশ দেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালতের দেয়া নির্দেশের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, পুনঃতদন্তে নতুন তথ্য ও সাক্ষ্য-প্রমাণ যাচাইয়ের কাজ চলছে।
সালমান শাহ হত্যা মামলায় সর্বমোট ১১ জনকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হত্যা মামলায় প্রধান আসামি নায়কের সাবেক স্ত্রী সামিরা হক। অন্য ১০ আসামিরা হলেন প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই, খলনায়ক ডন, লতিফা হক লুসি, ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ।
