December 1, 2025, 7:51 am
সর্বশেষ সংবাদ:
‘সমুদ্রে অবৈধ ও অতিরিক্ত মৎস্য আহরণে মাছের সংস্থান কমে যাচ্ছে’ দেশের ৩৩ শতাংশ মানুষ রোগাক্রান্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের একমাত্র সমাধান: পোপ লিও সশস্ত্র বাহিনীর বঞ্চিত সদস্যদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা বেলুচিস্তানে এফসি সদর দপ্তরে হামলা, পাল্টা হামলায় ৩ সন্ত্রাসী নিহত হঠাৎ পাল্টে গেলো বাংলালিংকের লোগো, সামাজিকমাধ্যমে চলছে আলোচনা কক্সবাজারে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা এবং কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার সঙ্গে এবার রেহানা-টিউলিপের রায় সোমবার খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য হাসিনা সরকার দায়ী: রাশেদ খান খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল, কিছুটা ভালোর দিকে: তথ্য উপদেষ্টা

অ্যামেরিকায় গ্রিন কার্ড স্থগিতের নোটিশ পাচ্ছেন কারা?

Reporter Name
  • Update Time : Monday, November 3, 2025
  • 14 Time View

‘উত্তর হচ্ছে যারা গ্রিন কার্ড আছে বা গ্রিন কার্ড এখনও হয় নাই, যাদের কোনো সময় মিথ্যা তথ্য দিয়ে গ্রিন কার্ড পেয়েছে, তারা হয়তো কোনো কারণে ইনঅ্যাডমিসিবল (অগ্রহণযোগ্য) ছিল, সত্যটা গোপন করে তারা গ্রিন কার্ড পেয়েছে এবং যারা ধরেন কোনো রাজনৈতিক দলের আশ্রয় বলেছে, ওই রাজনৈতিক দল তারা কোনো সময় করে নাই।’

অ্যামেরিকায় সম্প্রতি অনেকের গ্রিন কার্ড স্থগিত করা হয়েছে। তাদের নোটিশ টু অ্যাপিয়ার তথা এনটিএ পাঠানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীকে করেছেন টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদ। বাস্তবতার আলোকে উত্তর দিয়েছেন অতিথি।

টিবিএন: গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আপনারও, আমারও, সবারই মনে আছে। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভ্যন্তরীণ দুর্বৃত্তের কবল থেকে অ্যামেরিকানদের রক্ষা শীর্ষক যে নির্বাহী আদেশ তিনি স্বাক্ষর করেছিলেন, সেই স্বাক্ষরের পর থেকেই এই চলতি (গত) মাসের ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষকে দেখা যাচ্ছে, যারা গ্রিন কার্ড পেয়েছিলেন, এ রকম অনেকেই তাদের গ্রিন কার্ডকে স্থগিত রাখা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে এনটিএ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক হাজার বাংলাদেশি আছে বলেও আমরা খবর পেয়েছি।

তো আপনার কাছে জানতে চাই যে, কী কী কারণে ইউএসসিআইএস বা আইএস একজন স্থায়ী বাসিন্দা বা একজন গ্রিন কার্ডধারীর গ্রিন কার্ড স্থগিত এবং তাকে আমেরিকা থেকে বহিষ্কারের জন্য নোটিশ পাঠাতে পারে? আইনি প্রক্রিয়াটি কী বলে?

মঈন চৌধুরী: ধন্যবাদ, রানা ভাই। আপনি অনেক সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছেন। আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তার মধ্যে অনেক কিছু অলরেডি বলে ফেলেছেন। সো প্রথম প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে কারা এই নোটিশ পাচ্ছেন। উত্তর হচ্ছে যারা গ্রিন কার্ড আছে বা গ্রিন কার্ড এখনও হয় নাই, যাদের কোনো সময় মিথ্যা তথ্য দিয়ে গ্রিন কার্ড পেয়েছে, তারা হয়তো কোনো কারণে ইনঅ্যাডমিসিবল (অগ্রহণযোগ্য) ছিল, সত্যটা গোপন করে তারা গ্রিন কার্ড পেয়েছে এবং যারা ধরেন কোনো রাজনৈতিক দলের আশ্রয় বলেছে, ওই রাজনৈতিক দল তারা কোনো সময় করে নাই।

দেখা যায় অনেকেই বর্তমান স্রোতের সাথে মিশে রাজনৈতিক দলটা চুজ করে। দেশে হয়তো সে অন্য রাজনৈতিক দলের সক্রিয় একটা মেম্বার ছিল, কিন্তু এখানে এসে শুধু অ্যাসাইলাম প্রাপ্তির জন্য তার রাজনৈতিক পটপরিবর্তন করার কথা বলে এবং এইসব ক্ষেত্রে তারা বর্তমানে যেটা হচ্ছে, অনেকেই নোটিশ পাচ্ছে এবং পাবে।

কখন পাচ্ছে? র‌্যানডমলি তারা পাচ্ছে অথবা অনেকে দেখা যাচ্ছে তাদের হয়তো সিটিজেনশিপের জন্য অ্যাপ্লাই করছিল, এই সময় তারা প্রসেসে দেখতে পাচ্ছে যে, তারা (অভিবাসন কর্তৃপক্ষ) কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ড চেক আগে যা করে নাই, এখন একটু বেশি ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করছে। ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করতে যেয়ে দেখা যায়, একটা ভদ্রলোক হয়তো সে কোনো একসময় হয়তো আওয়ামী লীগের সদস্য ছিল বা বিএনপির সদস্য ছিল। তো অ্যামেরিকায় আসার পরে সে হয়তো আমি এক্সাম্পল দিচ্ছি, ডোন্ট টেক ইট আদারওয়াইজ, এবারে আসার পরে সে হয়তো করতেছে কী, এলডিপিতে সে অথবা জাতীয় পার্টিতে সে অ্যাসাইলাম উইন করে গ্রিন কার্ড তার হয়ে গেছে বা হবে।

এখন তার সোশ্যাল মিডিয়াতে যখন যখন তারা ঢুকে দেখতে পাচ্ছে যে, সেই লোকটা তো অনেক বছর যাবত আওয়ামী লীগের সদস্য কিন্তু এগুলা আসে নাই। এখন তারা এমনভাবে খুঁজে খুঁজে বের করে, যেটা আপনি হয়তো ভুলে গেছেন, কিন্তু সরকার এটা ভুলে নাই।

অনেকেই মনে করে যে, আমি যা একবার বলছি আমি ভুলে গেছি। তারা ভুলে যাবে না। আপনি ভুলে যেতে পারেন। রেকর্ড কিন্তু থেকে যায়। ওইসব ব্যক্তিরা কিন্তু ঝুঁকির মধ্যে আছে এবং

তাদেরকে শুধু অ্যাসাইলাম না, বিয়ের ক্ষেত্রে…। মনে করেন কেউ হয়তো বউ ছিল বাংলাদেশে। এইখানে সে ডিভোর্স কোনো রকম দিয়েই সেখানে একটা বিয়ে করে ফেলল। তখন দেখা গেল যে, তার স্বামী যে ছিল বাংলাদেশে সে হয়তো বা স্বামী ছিল বাংলাদেশে। সেটা অস্বীকার করেছে।

এখন তারা (অভিবাসন কর্তৃপক্ষ) কাগজপত্রে বা ডকুমেন্ট দেখতেছে, সেটা প্রপারলি ডিভোর্স হয় নাই। সত্যটা গোপন করেছে। এই ক্ষেত্রে সে যদি নাগরিকও হয়ে যায়, তারা দেখে যে হি অর শি ওয়াজ ইনঅ্যাডমিসিবল ইন দ্য বিগিনিং যে, তার গ্রিন কার্ড পাওয়ার কথা না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © dainikkhobor.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com