মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয়সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্তে জারি করা স্থগিতাবস্থা তাঁর প্রশাসন ‘দীর্ঘ সময়’ ধরে বজায় রাখার ইচ্ছা রাখে। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের কাছে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলির ঘটনার পর এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
গত ২৬ নভেম্বরের ওই গুলির ঘটনায় ২০ বছর বয়সী গার্ড সদস্য সারা বেকস্ট্রম নিহত হন এবং অপর এক সদস্য গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী আফগান নাগরিক রহমানউল্লাহ লাকানওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। লাকানওয়াল ২০২১ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর চালু হওয়া একটি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন।
কতদিন এই স্থগিতাবস্থা চলবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা জানতে চাওয়া হলে ট্রাম্প বলেন, কোনো সময়সীমা তাঁর মাথায় নেই। তিনি আরও কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা ওই লোকদের চাই না। জানেন কেন চাই না? কারণ, তাদের অনেকেই ভালো নয়। এবং তাদের আমাদের দেশে থাকা উচিত নয়।”
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, লাকানওয়ালের আশ্রয়ের আবেদন চলতি বছরের এপ্রিলে মঞ্জুর হলেও আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় তৎকালীন জো বাইডেন সরকার তাঁর বিষয়ে যথাযথ যাচাই-বাছাই করেনি, যার সুযোগ নিয়েই তিনি দেশে ঢুকতে পেরেছেন। গুলির ঘটনার পর ট্রাম্প আরও জানান যে, যুক্তরাষ্ট্রের পুরো ব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধারের সুযোগ দিতে তিনি তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করার পরিকল্পনা করছেন।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন–ঘোষিত এই পদক্ষেপের আওতায় ১৯টি দেশ রয়েছে। এই তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান ও মিয়ানমার, যা গত জুন মাস থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণসংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ছিল।