ঢাকা জেলার সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় পুলিশের টানা অভিযানে ৩৯ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট থানা কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা রোধে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এর মধ্যে সাভার মডেল থানা পুলিশ ২৮ জনকে এবং আশুলিয়া থানা পুলিশ ১১ জনকে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাশকতা সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বলেন, গতকাল রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মোট ২৮ জনকে আটক করেছি। তাদের সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের সক্রিয় কর্মী। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আশুলিয়া থানার ওসি মো. আব্দুল হান্নান জানান, নাশকতা প্রতিরোধে নিয়মিত চেকপোস্ট ও অভিযান চালানো হচ্ছে। এ অভিযানে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে সম্ভাব্য সহিংসতা ঠেকাতে আমিনবাজার, নবীনগর, বাইপাইলসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা শাখাও তৎপর রয়েছে। ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনে তল্লাশি চলছে, সন্দেহভাজন যাত্রীদের পরিচয় যাচাই করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আরাফাতুল ইসলাম বলেন, চেকপোস্ট কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলছে। মোবাইল টিমও মাঠে রয়েছে। সাদা পোশাকের পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি।
পুলিশের পাশাপাশি যৌথবাহিনীর টহলও বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে টহল দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
অন্যদিকে সহিংসতা প্রতিরোধে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরসহ আরও কিছু রাজনৈতিক সংগঠন ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-বাইপাইল সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে সতর্ক অবস্থান অব্যাহত থাকবে।