মানিকগঞ্জে শ্রমিক দিবস পালিত শ্রমিকবান্ধব সমাজের আহবান
মোহাম্মদ ইউনুস আলী:
শ্রমিক দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির উদ্যোগে মানিকগঞ্জে আলোাচনা সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
“দুনিয়ার মজদুর এক হও“, “মে দিবস দিচ্ছে ডাক-স্বৈরাচার নিপাত যাক, দু:শাসন হটাও ব্যাবস্থা বদলাও, গ্যাস না দিয়ে বিল নেয়া এই সন্ত্রাসী বন্ধ কর, গ্যাস,বিদ্যুৎ, পানি, নেট, স্যাটেলাইট বিল অর্ধেক কর, সকল কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন চালু কর, ট্রেড ইউনিয়ন বিরোধী কালো আইন বন্ধ কর, আইসিটি আইনসহ ইনডেমেনটি আইন বাতিল কর, শ্রমিকবান্ধব ন্যায্যাতার সমাজ বিনির্মমান কর” এই ধরনের বিভিন্ন শ্লোগানকে নিয়ে মানিকগঞ্জ ক্রীড়া সংস্থা সংলগ্ন শহীদ স্মৃতি ফলক চত্ত্বরে আলোাচনা সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের করা হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), মানিকগঞ্জ জেলা কমিটি সভাপতি অধ্যাপক কমরেড আবুল ইসলাম সিকদারের সভাপতিত্বে
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক কমরেড কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহান মে দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও সিপিবি জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড আব্দুল মান্নান, সিপিবি জেলা কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. মিজানুর রহমান হযরত। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন সংগঠনের জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড মো. নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক কমরেড মুজিবুর রহমান মাস্টার, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি ঘিওর উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড দুলাল বিশ্বাস, সিপিবি সিংগাইর উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড নাসির উদ্দিন, মানিকগঞ্জ সদর কমিটির সাধারন সম্পাদক ডা: আশরাফ সিদ্দিকী, হরিরামপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হরিপদ সূত্রধর, শিবালয় উপজেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড সংকর প্রসাদ ভৌমিক, খেলাঘর জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক জগদিশ চন্দ্র মালো, কমরেড আরশেদ আলী মাস্টার, ছাত্রনেতা রাসেল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, ‘শ্রমিকের শ্রমে ও ঘামেই আজকের সভ্যতার মূল সোপান। প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ শ্রমিক আর ৫ ভাগ মালিক। বেশিরভাগ মালিক হলো শোসক আর বেশিরভাগ শ্রমিক হলো শোষিত। আমরা শোষিত মানুষের অধিকার আদায়ের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম করছি। আমরা পূজিপতিদের সমাজ ভেঙ্গে শ্রমিকবান্ধব নতুন সমাজ গড়তে চাই। শোষনমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ গড়তে হলে প্রাথমিকভাবে সমাজে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, শ্রমিক মেহনতি নাগরিকের জন্য পল্লী রেসনিং চালূ করতে হবে, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার দিতে হবে। মালিক শ্রমিকের দ্বন্দ্ব নিরসন করে শ্রমিকবান্ধব কারখানা নিশ্চিত করতে পারলে ন্যায্যাতার সমাজ গড়া সম্ভাব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন