November 8, 2025
FB_IMG_17625349258416690

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কাওয়ালি সন্ধ্যার আয়োজন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের অঙ্গ সংগঠন ‘নিমন্ত্রণ সাংস্কৃতিক সংসদ’। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

অনুষ্ঠানে গজল, হামদ, নাত ও কাওয়ালিসহ নানা ইসলামিক সংগীত পরিবেশন করা হয়। অংশগ্রহণ করে সমন্বয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ ও নিমন্ত্রণ সাংস্কৃতিক সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন। জনপ্রিয় নাশিদ শিল্পী গার্জী আনাস রাওশান ও ব্যান্ড ‘হ্যাভেন টিউন’ও কণ্ঠ দেন এতে।

কাউয়ালি সংগীতের শুরতে কুরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে আজকের অনুষ্ঠান শুরু হয়। কাউয়ালি অনুষ্ঠানে শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, “মো. ফারুকের নেতৃত্বে দুটি অভিনয় দল থাকবে। আবৃত্তি করবেন মুকুল হোসেন। শিক্ষার্থীদের বিনোদন ও মানসিক প্রশান্তির কথা মাথায় রেখেই এই কাওয়ালি সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভাই বোনদের জন্য আমাদের আজকের আয়োজন। ”

শাখা শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আজকের এই অনুষ্ঠানে আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি ২০০৬ সালে শহীদ হওয়া ফয়সালকে এবং জুলাই আন্দোলনের শহীদ একরামুল হক সাজিদকে। একই সঙ্গে আহত সকল শিক্ষার্থীর সুস্থতা কামনা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাই বোনেরা আজকের অনুষ্ঠান মন ভরে উপভোগ করবে এটাই প্রত্যাশা। শিক্ষার্থীদের যে ঢল কাউয়ালি ঘিরে এটা দেখেই মন ভরে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্রাতৃত্ব অটুট থাকুক—এই প্রত্যাশা নিয়েই আমাদের এই আয়োজন। সকলের ভালোবাসা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।”

জানা যায়, কাউয়ালি অনুষ্ঠানে শাখা শিবির বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবীর জন্য ফান্ড কালেকশন করবেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ( জবি) ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নূর নবী অনেক দিন ধরে ‘অস্টিওসারকোমা’ নামের অস্থি ক্যান্সারে ভুগছেন। এসএসসি পরীক্ষার পর তার অস্থিতে ক্যন্সার ধরা পড়ে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাম পা কেটে ফেলা হয়।

তবুও তিনি পড়াশুনার হাল ছাড়েননি। অদম্য সাহস ও স্বপ্ন নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগে ভর্তি হন। প্রতিদিন সাভার থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সপ্তম সেমিস্টারের পড়াশোনাও সম্পন্ন করেছেন। চিকিৎসকরা দ্রুত তার চিকিৎসা শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *