October 16, 2025
trump-maduro-20251016092733

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে ক্যারিবীয় সাগরে সাম্প্রতিক সংঘাতের মধ্যে তিনি দেশটির ভেতরে স্থল হামলারও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযানের জন্য তিনি সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিকে (সিআইএ) অনুমোদন দিয়েছেন বলে বুধবার স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

একই সঙ্গে তিনি জানান, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্যারিবীয় সাগরে ভেনেজুয়েলার নৌযানে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এসব হামলার পর ওয়াশিংটন ও কারাকাসের উত্তেজনা বেড়ে গেছে এবং তার প্রশাসন এখন দেশটির ভেতরে স্থল অভিযান চালানোর বিষয়টিও বিবেচনা করছে।

আল জাজিরা বলছে, বুধবার ট্রাম্প শীর্ষস্থানীয় আইনশৃঙ্খলা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে এক সাংবাদিক নিউইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত সিআইএ-সম্পর্কিত প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে জানতে চান, “আপনি কেন সিআইএকে ভেনেজুয়েলায় পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছেন?”

এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আসলে দুটি কারণে এই অনুমোদন দিয়েছি। প্রথমত, তারা তাদের কারাগারের কয়েদিদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছে”। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তিনি ভেনেজুয়েলার মাদক পাচারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

ট্রাম্প বলেন, “ভেনেজুয়েলা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছে। বেশিরভাগই সাগরপথে আসে। তবে এবার আমরা স্থলপথেও তাদের ঠেকাব।” ভেনেজুয়েলার প্রতি ট্রাম্পের এই আগ্রাসী অবস্থান অবশ্য নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প একই অবস্থানে ছিলেন চলমান। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলা উভয়ই ক্যারিবীয় সাগরে সামরিক প্রস্তুতি বাড়িয়েছে। আর এটিই নতুন সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ভেনেজুয়েলা সরকার অবশ্য ট্রাম্পের এই বক্তব্য ও সিআইএ’র গোপন অভিযান চালানোর অনুমোদনের কড়া সমালোচনা করেছে। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করছে বলেও অভিযোগে অভিযোগ করেছে দেশটি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট মাদুরোর প্রশাসন এক বিবৃতিতে বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্রের এসব পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তনের ন্যায্যতা তৈরি করা এবং শেষ পর্যন্ত দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।”

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, “সিআইএ কি মাদুরোকে অপসারণের অনুমোদন পেয়েছে?”জবাবে ট্রাম্প কিছুটা হাস্যরস করে উত্তর দেন। তিনি বলেন, “এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে হাস্যকর হবে। প্রশ্নটা অযৌক্তিক নয়, কিন্তু আমি যদি উত্তর দিই, সেটা হাস্যকর হবে না?”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *