November 5, 2025
tbn24-20251103195939-8795-nyc three candidates

ভোটারদের কাছে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন জোরান মামদানি, অ্যান্ড্রু কুওমো ও কার্টিস স্লিওয়া।

নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা।

ভোটারদের কাছে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন জোরান মামদানি, অ্যান্ড্রু কুওমো ও কার্টিস স্লিওয়া।

নিউ ইয়র্ক সিটিকে বাসিন্দাদের জন্য নিরাপদ বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে নিজেদের নানা পরিকল্পনার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তারা।

সিটির মেয়র নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই শহরের ক্রমবর্ধমান ব্যয়, আবাসন সংকট ও নিরাপত্তার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো ভোটারদের সিদ্ধান্তের কেন্দ্রে উঠে আসছে।

আগামীকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী মামদানি, স্বতন্ত্র প্রার্থী কুওমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী স্লিওয়ার মধ্যে লড়াই এখন তুঙ্গে।

মামদানি তার প্রচারে নিউ ইয়র্কের ব্যাপক বৈচিত্র্যকে তার শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন। একই সঙ্গে অভিবাসী সমাজের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠারও অঙ্গীকার করেছেন তিনি।

প্রতিপক্ষ সাবেক গভর্নর কুওমোকে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পুতুল এবং তোতা পাখি বলে অভিহিত করেন মামদানি।

তিনি বলেন, ট্রাম্পের মতো ঘৃণা ও বিভাজনের ভাষায় কথা বলছেন কুওমো।

অন্যদিকে মামদানির পরিকল্পনাগুলোকে ‘অবাস্তব সমাজতান্ত্রিক স্লোগান’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন কুওমো। একই সঙ্গে শহরের নিরাপত্তা জোরদার এবং পাঁচ হাজার নতুন পুলিশ নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন তিনি।

মামদানি বর্তমানে জনমত জরিপে এগিয়ে থাকলেও ব্যবধান দ্রুত কমিয়ে আনছেন বলে দাবি করছেন কুওমো।

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে অযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী বলে বিদ্রুপ করে তিনি বলেন, তাকে দেওয়া প্রতিটি ভোটই মামদানিকে জেতাতে সাহায্য করবে। আর মামদানির মতো একজন সমাজতন্ত্রী নেতার হাতে শহরের ভার গেলে তা নিউ ইয়র্ক সিটির জন্য ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হবে।

মেয়র হলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানান কুওমো।

লড়াইয়ে থাকা রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া ঘোষণা করেছেন, তিনি নিউ ইয়র্কের নির্বাচনে জয়ী হতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

নিজেকে আইনশৃঙ্খলার রক্ষাকর্তা দাবি করে দ্বিতীয় রুডি জুলিয়ানি হয়ে ওঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

এদিকে মূল নির্বাচনের আগে রেকর্ড সাত লাখ ৩৫ হাজার ভোটারের ভোটদানের মধ্য দিয়ে রবিবার শেষ হয়েছে নিউ ইয়র্ক সিটির আগাম ভোট গ্রহণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *