November 10, 2025
tbn24-20251106115533-5973-germany - 2025-11-06T174818.353

তবে এই হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য টাকা কামান বা দয়া প্রদর্শন নয় বরং রাতের শিফটে তার কাজের চাপ কমানোর জন্যই এমন নৃশংস পন্থা বের করেছেন তিনি।

এটা যেন কাফকার কোনো নাটকের দৃশ্য। যেখানে মানুষের কষ্ট লাঘবের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ভেবেছেন কষ্ট কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো যে কষ্ট পাচ্ছে, তাকে সরিয়ে দেওয়া।

বিবিসির সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন বলছে এমনই এক ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়েছেন জার্মানির একজন প্যালিয়েটিভ কেয়ার নার্স। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ১০ জন রোগীকে হত্যা এবং ২৭ জনকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। শাস্তি স্বরূপ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এই নার্সকে।

তবে এই হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য টাকা কামান বা দয়া প্রদর্শন নয় বরং রাতের শিফটে তার কাজের চাপ কমানোর জন্যই এমন নৃশংস পন্থা বের করেছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই নার্স ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের মে মাসের মধ্যে সিরিঞ্জের সাহায্যে রোগীদের হত্যা করেন।

প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ওই নার্স বয়স্ক রোগীদের মরফিন ও মিডাজোলাম ইনজেকশন দিয়েছিলেন। তবে তা রোগীদের ব্যথা কমানোর জন্য নয় বরং নিজের রাতের কাজ সহজ করার জন্য।

আদালতে বলা হয়, যেসব রোগীদের বেশি যত্নের প্রয়োজন ছিল, তাদের প্রতি তিনি বিরক্তি প্রকাশ করতেন। যেন তাদের কষ্ট তার জন্য একটা বাড়তি ঝামেলা মাত্র।

এ ঘটনা সামনে আসার পর তদন্তকারীরা আরও মৃতদেহ কবর থেকে তুলছেন, এটা খতিয়ে দেখতে যে এই ঘটনা কি শুধু তার দীর্ঘ অপরাধজীবনের এক অংশ মাত্র, নাকি আরও অনেক অজানা মৃত্যু এর সঙ্গে জড়িত।

যদি এই অভিযোগগুলো সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি হবেন জার্মান নার্স নিলস হোগেল এর মতো ভয়াবহ একজন অপরাধী। হোগেলকে ২০১৯ সালে দণ্ড দেওয়া হয়, কারণ তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে উত্তর জার্মানির হাসপাতালগুলোতে ৮৫ জন রোগীকে হত্যা করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *