নিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সরকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, জাতীয় পার্টির তোষামোদী ভূমিকার কারণেই শেখ হাসিনার ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা পায়। তাই জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্তে আমরা অনড়। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে ৮ দলের ডাকা বিভাগীয় সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জাতীয় পার্টির বড় চমক হলো, তারা আওয়ামী লীগকে তুষ্ট করতে করতে ভারতের আজ্ঞাবাহী শেখ হাসিনাকে ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের অগণতান্ত্রিক নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট ব্যাহত হওয়ার পেছনে অন্যতম দায় তাদের।
মাওলানা হালিম আরো বলেন, একসময় রংপুরসহ দেশের মানুষের সহানুভূতি ছিল জাতীয় পার্টির প্রতি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্ধভক্তির মাধ্যমে জনগণের আস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে দলটি। তার দাবি, আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করাও এখন সাধারণ মানুষের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকারের জারি করা আদেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকারের জারি করা আদেশকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য গণভোট অপরিহার্য । ৮ দল গণভোট একই দিনে না করে পৃথকভাবে এবং নভেম্বর মাসে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে সম্মান জানিয়ে তারা একই দিনে গণভোটে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন। তার ভাষায়, একই দিনে গণভোট হলে কিছু আশঙ্কা ও মিশ্র পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে—তাই তারা আলাদা আয়োজন চেয়েছিলেন। তবুও তিনি দাবি করেন, একই দিনে হলেও জনগণ ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষেই রায় দেবে।
তিনি আরো বলেন, রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ আয়োজনের উদ্দেশ্যই হলো জনগণকে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে সুদৃঢ়ভাবে দাঁড় করানো। যারা ৩৬ জুলাইকে শ্রদ্ধা করে না তারাই গণভোটের বিপক্ষে কথা বলে। ছাত্র জনতার হাজারো জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে হলে গণভোটটি একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে তাই আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের দাবি জানিয়ে আসছি সেই দাবি থেকে আমরা কখনো সরে আসবো না।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগর আমির ও রংপুর- ৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী উপাধ্যক্ষ এটিএম আযম খান, সেক্রেটারি কে এম আনোয়ারুল হক কাজল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রংপুর মহানগর সভাপতি মুফতি আব্দুর রহমান কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল, রংপুর-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক রায়হান সিরাজীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নিউজ ডেস্ক: