October 13, 2025
2025-09-29_151900

৪৮ জেলায় আবেদন লক্ষাধিক, কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশে বেকারত্ব দূরীকরণ ও উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে বহুল আলোচিত প্রকল্প “দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি”।

২০২৫ সাল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৩টি ব্যাচে মোট ৭২০০ জন যুবক ও যুবতী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে ৬২ শতাংশের অধিক সরাসরি আয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছেন। প্রশিক্ষণার্থীদের আয় থেকে ইতোমধ্যে প্রায় ৯ লক্ষ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১ কোটি টাকা) অর্জিত হয়েছে এবং এ আয় অব্যাহত রয়েছে।

এই প্রকল্পে যোগ দিতে যুব সমাজের আগ্রহ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। চতুর্থ মেয়াদে (অক্টোবর–ডিসেম্বর ২০২৫) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেই ৪৮ জেলায় লক্ষাধিক আবেদন জমা পড়ে। তবে প্রতি জেলায় ৭৫ জন করে সর্বমোট ৩৬০০ জন প্রশিক্ষণার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

আজ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে একযোগে সারাদেশে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরেজমিনে পরীক্ষার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পরীক্ষার কার্যক্রম তদারকি করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক(সিড ফাইন্যান্সিং) জনাব মোঃ নাজিম উদ্দিন, উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব আব্দুর রশীদ খান (যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, পটুয়াখালী) এবং ই-লার্নিং এন্ড আর্নিং লিমিটেডের কর্মকর্তাবৃন্দ।

পটুয়াখালীতে রেকর্ড আবেদন

পটুয়াখালী জেলায় চতুর্থ ব্যাচে ৪৬৭ জন প্রার্থী আবেদন করেছে ও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষার সঙ্গে মিলিয়ে চূড়ান্ত ফলাফল এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে। এর আগে এ জেলা থেকে ৩টি ব্যাচে মোট ১৫০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে, যার অন্তত ৬০ শতাংশ ইতোমধ্যে আয়ের সাথে সম্পৃক্ত।

প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য সুবিধা

প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিটি প্রশিক্ষণার্থীকে প্রতিদিন ২০০ টাকা হারে যাতায়াত ভাতা, সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকালের নাস্তা এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ উপকরণ প্রদান করা হবে।

পরিচালনায় স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান

সারাদেশে এই প্রকল্পটি পরিচালনা করছে দেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী দিনগুলোতে আরও বেশি যুবক-যুবতী দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে দেশীয় ও বৈদেশিক বাজারে কাজ করার সুযোগ পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *