হামলা পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র নিউ ইয়র্ক পোস্টকে জানায়, অভিযানের উদ্দেশ্য হবে মাদুরো সরকারের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানোা।
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরোর ওপর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের চাপ বৃদ্ধির মধ্যে দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশটির সামরিক ঘাঁটিতে হামলার জন্য অ্যামেরিকা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানতে পেরেছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট।
সংবাদমাধ্যমটি শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
হামলা পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত একটি সূত্র নিউ ইয়র্ক পোস্টকে জানায়, অভিযানের উদ্দেশ্য হবে মাদুরো সরকারের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানানোা। এ ছাড়া ‘কার্টেল ডি লস সোলস’ বা ‘কার্টেল অব দ্য সানস’ নামের অপরাধী গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে এ অভিযানে। গোষ্ঠীটি ভেনেজুয়েলার সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পদের সদস্যরা নিয়ন্ত্রণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভেনেজুয়েলায় সম্ভাব্য সামরিক হামলা নিয়ে এয়ার ফোর্স ওয়ানে শুক্রবার ট্রাম্প রিপোর্টারদের জানান, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি।
কার্টেল ডি লস সোলসের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকার ও ইউরোপে বছরে ৫০০ টনের মতো কোকেন পাচারের অভিযোগ করেন অ্যামেরিকার কর্মকর্তারা।
তাদের ভাষ্য, অপরাধী এ গোষ্ঠী ভেনেজুয়েলার ট্রেন ডি অ্যারাগুয়া, মেক্সিকোর সিনালোয়া ও অন্য অপরাধী সিন্ডিকেটগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে।
ভেনেজুয়েলার আশপাশে ট্রাম্পের প্রকাশ্য সামরিক তৎপরতার শুরু আগস্টে। ওই মাসে দেশটির উপকূলের কাছে জলসীমায় সাত রণতরি মোতায়েন করেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। এগুলোতে ছিল চার হাজার ৫০০ অ্যামেরিকান সেনা।
সেই থেকে সেনার সংখ্যা বেড়ে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন, যেটি এরই মধ্যে ভেনেজুয়েলা উপকূলের দিকে রওনা হয়েছে।
রণতরি ও সেনা মোতায়েনের শুরুতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, ‘আমাদের দেশকে মাদকে সয়লাব হওয়া থেকে ঠেকাতে এবং (এর সঙ্গে) জড়িতদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনতে অ্যামেরিকান শক্তির প্রতিটি উপাদান ব্যবহারে প্রেসিডেন্ট প্রস্তুত।’
মোতায়েনকৃত সেনারা এরই মধ্যে মাদক সন্ত্রাসী সন্দেহে ভেনেজুয়েলার আশপাশের জলসীমায় হামলা চালিয়ে ৫৭ জনকে হত্যা করেন। শুক্রবার নাগাদ তারা মাদকবাহী সন্দেহে কমপক্ষে ১৪টি নৌকায় ১৩টি হামলা করেন।
